ছবিবিহীন পবিত্র হজ্জ পালন নিশ্চিত করা সমস্ত মুসলিম দেশের সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য

পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে প্রত্যেক স্বাধীন, বালিগ, সুস্থ, দৃষ্টি শক্তিসম্পন্ন মুসলমানের যদি সাংসারিক প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর পবিত্র হজ্জে যাওয়া ও ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারবর্গের ভরণ-পোষণের অতিরিক্ত সম্বল ও পাথেয় থাকে, যানবাহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকে, জান-মাল ও পবিত্র ঈমান-আমলের নিরাপত্তা থাকে, তাহলে তার জন্য জীবনে একবার পবিত্র হজ্জ করা ফরয। যাদের পবিত্র হজ্জে উনার যাওয়ার পথে প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে, মাল ছিনতাইয়ের ভয় রয়েছে, পবিত্র ঈমান ও আমল নষ্ট হওয়ার অর্থাৎ কোনো কুফরী ও হারাম কাজ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের উপর পবিত্র হজ্জ ফরয হয় না। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যাদের পথের নিরাপত্তা ও আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য পবিত্র হজ্জ ফরয।”

পবিত্র হজ্জ ফরয হওয়ার পরও যদি কেউ গাফলতি করে পবিত্র হজ্জ না করে তবে সে ঈমানহারা হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ-এ পথের নিরাপত্তা বলতে মাল-জান এবং পবিত্র ঈমান উনার নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। কারণ মাল-জানের চেয়ে পবিত্র ঈমান উনার গুরুত্ব অনেক বেশি। কাজেই পবিত্র ঈমান ও আমল নষ্ট হওয়ার অর্থাৎ কোনো কুফরী ও হারাম কাজ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এটা জানা সত্ত্বেও কেউ যদি পবিত্র হজ্জে রওয়ানা করে এবং তাদের দ্বারা কুফরী ও হারাম কাজ সংঘটিত হয়, তাহলে এজন্য তাদের কুফরী ও কবীরা গুনাহ হবে। অনুরূপ মহিলাদের সাথে স্বামী কিংবা কোনো সচ্চরিত্রবান মাহরাম পুরুষ সঙ্গে না নিয়ে তারা যদি পবিত্র হজ্জে রওয়ানা করে এবং পথে কোনো অশালীন কাজ সংঘটিত হয় সেজন্য তারাই কঠিন গুনাহে গুনাহগার হবে।
কাজেই ছবি ও পর্দার আদেশ লঙ্ঘন করে পবিত্র হজ্জ পালন করলে সে পবিত্র হজ্জ কস্মিনকালেও আদায় হবে না এবং এটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার ফতওয়া। তাই বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম দেশের সরকারের উচিত ছবিবিহীন পবিত্র হজ্জ পালন নিশ্চিত করার জন্য একসাথে কাজ করা।