মুনজিয়াত হলো ঐ সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব, যে সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব নাযাত বা মুক্তি দেয়। অর্থাৎ “তাযাল্লুক মায়াল্লাহ্” বা আল্লাহ্ পাক-এর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেয়।
কোন বুযুর্গ কবি বলেন, “যদি তুমি মহান আল্লাহ্ পাক-এর নৈকট্য লাভ করতে চাও, তবে তোমার নফ্স বা অন্তরকে নেক খাছলতসমূহ দ্বারা তা’লীম দাও।”
আর ঐ সকল নেক খাছলত হচ্ছেঃ
কোন বুযুর্গ কবি বলেন, “যদি তুমি মহান আল্লাহ্ পাক-এর নৈকট্য লাভ করতে চাও, তবে তোমার নফ্স বা অন্তরকে নেক খাছলতসমূহ দ্বারা তা’লীম দাও।”
আর ঐ সকল নেক খাছলত হচ্ছেঃ
- তওবা (গুণাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তন)
- ছবর (ধৈর্য)
- শোকর (কৃতজ্ঞতা)
- তায়াক্কুল (ভরসা)
- ইখলাছ (একনিষ্ঠতা)
- খওফ (ভয়)
- রিদ্বা (সন্তুষ্টি)
- মুহব্বত (ভালবাসা)
- মুরাক্বাবা (চিন্তা-ভাবনা)
- মুহাসাবা (আমলের হিসাব)
- ইনাবত (রুজু হওয়া)
- যুহ্দ (বিরাগী হ্ওয়া)
- অরা’ (পরহেযগারী)
- ক্বনায়াত (অল্পে তুষ্ট)
- তাস্লীম (আাত্নসমর্পণ করা)
- তাফাক্কুর (সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা)
- শওক্ব (আগ্রহ)
- তাওহীদ (একত্ববাদ)
- নিয়ত (সংকল্প)
- ছিদ্ক (সত্যবাদীতা)
- ফক্বর (স্বেচ্ছায় দারিদ্রতা গ্রহন করা
- যিক্বুল মউত (মৃতু্্র স্মরণ)
- আহ্্রয়ালে আখিরাত (পরকালের অবস্থা)
- সাখাওয়াত (দানশীলতা)
- তাওয়াদু’ (বিনয় বা নম্রতা)
- রিদ্বা(আশা)
- মুজাহাদা (চেষ্টা বা কোশেশ)
- মুশাহাদা (দেখা)
- ইল্ম (জ্ঞান)
- ইস্তেক্বামাত (দৃঢ়তা)
- হায়া (লজ্জা)
- ক্বিল্লাতুত্ ত্বয়াম (কম খাওয়া)
- আদব (শিষ্টাচার)
- ইছার বা হুররিয়াত (স্বাধীনতা বা অপরের লাভকে প্রাধান্য দেয়া)
- হুযূরী ক্বল্ব (সর্বদা অন্তরে যিকির করা)
- খিদ্মাতুল ফুক্বারা(ওলীগণের খিদমত)
- উজ্লত(নির্জনতা)
- তাফবীজ (ভার অর্পন বা দায়িত্ব দেয়া)
- ইহ্সান (পরোপকার)
- শুজায়াত (বাহাদুরী)
- আহ্দ (ওয়াদা)
- ক্বিল্লাতুল কালাম (কম কথা বলা)
- ক্বিল্লাতুল মানাম (কম ঘুমানো)
- কিল্লাতুল্ ইখ্লাত মায়াল আনাম(মানুষের সাথে কম মেলামেশা করা)